For the whole day
১। দিনের শুরুতে ব্যায়াম করুন কিংবা আধঘণ্টা হেঁটে নিন।
২। সকালের নাস্তায় অবশ্যই ফলের রস খাবেন।
৩। দিনে অন্তত একবার সবুজ চা খাবেন।
৪। দৈনিক আট গ্লাস পানি পান করুন।
৫। এক ঘণ্টা কাজের পরে ১০ মিনিট বিশ্রাম নিন।
৬। প্রয়োজনে দিনে দুইবার গোসল করুন।
৭। সুগন্ধি ব্যবহার করুন নিয়মিত।
৮। পরিমাণে অল্প কিন্তু বারবার খাবেন।
৯। পুদিনা ও ইউক্যালিপটাস জাতীয় সুগন্ধি মস্তিষ্ককে তরতাজা করে।
১০। ফল ও শাকসবজি নিয়ম করে খাবেন।
১১। এমন সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করুন যার সুগন্ধ অনেক সময় ধরে থাকবে।
১২। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন প্রতিদিন।
১৩। অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমাবেন।
১৪। নিয়মিত যেকোনো খেলাধুলা করুন।
১৫। অবসর সময়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় কাটান। তাদের সাথে বেড়াতে যান।
১৬। কোনো পোষা প্রাণী রাখতে পারেন কিংবা একুরিয়ামে মাছ রাখলেও ঘরে ফিরে সারাদিনের ক্লান্তি কিছুটা হলেও দূর হবে।
১৭। মাঝে মাঝে বাগান করতে পারেন কিংবা টবে গাছ লাগাতে পারেন।
১৯। অফিস টেবিল কিংবা বাসায় কাজের টেবিল গুছানো রাখবেন।
২০। যৌন জীবনে সুখ লাভ করার চেষ্টা করুন।
কি খাবেন, কি খাবেন না
১। ক্যালরি হিসাব করে খাবেন। আপনার শারীরিক পরিশ্রম কতটুকু হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে খাবার খাবেন।
২। খাবারে নিউট্রিয়েন্ট ভ্যারাইটি বাড়ান।
৩। কোলেস্টেরল ও ফ্যাট জাতীয় খাবারের প্রয়োজন নেই।
৪। ফাইবারযুক্ত খাবার নিয়মিত খাবেন।
৫। সবজি ও ফল নিয়ম করে খাবেন।
৬। লবণ কম খাবেন।
৭। ধূমপান পরিহার করুন।
৮। অ্যালকোহল পরিমিত খাবেন।
৯। উদ্ভিজ্জ প্রোটিন যেমন তাল খাবেন।
১০। ক্যালসিয়াম ও আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার খাবেন।
১১। চিনি যতটা পারেন কম খাবেন।
১২। টিনফুড যথাসম্ভব কম খাবেন।
১৩। ফাস্টফুড ও ভাজা খাবার কম খাবেন।
১৪। কোক, পেপসি না খেয়ে ফলের রস খাবেন।
স্তন ক্যানসার এড়ানোর উপায় ও ঝুঁকিগুলো
১। দেহে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেবেন না।
২। নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
৩। বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাবেন না।
৪। টাটকা ফল ও সবজি খাবেন।
৫। সন্তানদের অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াবেন।
৬। অবিবাহিতা ও সন্তানহীনা মহিলাদের মাঝে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি।
৭। তিরিশ বছরের পরে যারা মা হয়েছেন তাদের স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা একজন কম বয়সী মা হওয়া মহিলার তুলনায় অনেক বেশি।
৮। যারা ধূমপান করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে দুই পেগের বেশি মদ্যপান করেন তাদের স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশি।
৯। পরিবারে কারো স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে এর ঝুঁকি বাড়ে।
১০। জন্ম-নিরোধক পিল ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
১১। হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি করার আগে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
১২। প্রতি মাসে নিজের স্তন পরীক্ষা করবেন। অস্বাভাবিক শক্তভাব বা স্তনবৃন্ত হতে কোনো রস নির্গত হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
১৩। স্তনে কোনো ডেলা বা শক্তভাব হলে ঋঘঅঈ বা ফাইন নিডল এসপিরেশন সাইটোলজি করানো প্রয়োজন।
১৪। প্রয়োজনে ম্যামোগ্রাফি বা স্তনের এক্সরে করবেন।
গরমের খাওয়া দাওয়া
গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে সোডিয়াম বের হয়ে যায়। এতে দুর্বল বোধ হয় এবং মাসল অ্যাম্পও হয়। সোডিয়ামের সাথে পটাশিয়াম ও বাইকার্বনেট ও শরীর থেকে বের হয়ে যায়। ঘাম হলে প্রচুর পানি পিপাসা হয়। এসময় শরবত ও ফলের রস খাওয়া ভালো। সোডিয়ামের ঘাটতি ঠেকাতে লেবুর শরবতে চিনির সাথে অল্প লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে শরীর সহজে ক্লান্ত হয় না। তবে উচ্চ রক্তচাপ রোগীর ক্ষেত্রে লবণের শরবতের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন।
গরমে দইয়ের শরবত বা লাসসি খাওয়া ভালো। দইয়ে ল্যাকটিক এসিড থাকায় হজমে সহায়তা হয়।
ডাবের পানিতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকায় ডাবের পানি গরমের দিনে পান করা প্রয়োজন। এতে শরীর তরতাজা থাকে। কাঁচা আম পুড়ে লবণ, চিনি মিশিয়ে শরবত খেলে ভালো।
গরমের দিনে দুধ-চা না খেয়ে হালকা লেবু-চা শরীরের জন্য ভালো। পানিমুক্ত ফল যেমনÑ তরমুজ, জামরুল, লিচু, শশা, পেঁপে, বাঙ্গি ও পাকা আম প্রচুর পরিমাণে খাবেন।
কোল্ডড্রিংকস না খেয়ে ফলের রস বা ডাবের পানি পান করা খুবই ভালো। রাতে ও দুপুরের খাবারের হালকা মাছের ঝোল, ভাত, রুটি, মুরগির ঝোল ও সবজি খাওয়া ভালো। সাথে সালাদ থাকলে আরো ভালো হয়। গরমে শরীরের সুস্থতার জন্য অবশ্যই খাবারে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।