আগামী ১৫ই জুন বৃহস্পতিবার বার্মিংহামের এজবাস্টনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় (বাংলাদেশে বিকেল তিনটায়, আর ভারতে আড়াইটায়)।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আট উইকেটের ব্যবধানে জয় পাবার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত।
ওই ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের সাবেক ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন "ভারতের পারফরম্যান্স ছিল এক কথায় অসাধারণ"। সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, "এই জয় ভারতের মনোবল ও আত্মবিশ্বাসকে আরো চাঙ্গা করে দেবে"।
"চ্যাম্পিয়্ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারতের মতো প্রফেশনাল দলকে মোকাবেলা করাটা বাংলাদেশের জন্য অনেক কঠিন হবে"-বলেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
তবে বাংলাদেশও যে ভারতের বিপক্ষে ভালো লড়াই করবে সেটাও মনে করছেন সৌরভ গাঙ্গুলি।
"কাগজে কলমে দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্যই ভালো দল, কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাদের পারফরম্যান্স খুবই খারাপ ছিলো। অন্যদিকে বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকার তুলনায় দুর্বল দল হলেও তারা দারুণ লড়াই করবে আমার মনে হয়।
"কারণ, তাদের ব্যাটিং লাইন-আপ ভালো। তারা স্পিন ভালো খেলতে পারে, এছাড়া তাদের বোলাররাও ভালো করছে। কিন্তু ভারতের মতো এমন বিধ্বংসী দলকে মোকাবেলা করার মতো শক্তিশালী দল বাংলাদেশ কিনা সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই"- বলছেন সৌরভ গাঙ্গুলি।
যেভাবে দুই দলের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হলো
রবিবার ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা, দুই দলের জন্যই ওভালে ছিল টুর্নামেন্টে বাঁচা-মরার লড়াই। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে ব্যাট করে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে এবং ৪৪ ওভার ৩ বলে মাত্র ১৯১ রানেই তারা অল আউট হয়ে যায়।
জবাবে ভারত পুরো বারো ওভার বাকি থাকতেই মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। সেই সঙ্গে তাদের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াও এক রকম নিশ্চিত হয়ে যায়। বড় রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক ভিরাট কোহলি ও ওপেনার শিখর ধাওয়ান।
সোফিয়া গার্ডেন্সে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ এর আগেই সেমিফাইনালে তাদের জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছিল। এখন মাত্র বছর দুয়েকের মধ্যে দ্বিতীয়বার কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টের নক-আউট পর্যায়ে তারা ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে।
গত তিন বছরে এ নিয়ে তৃতীয়বার ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যে ওয়ান-ডে বিশ্বকাপ হয়েছিল, তার কোয়ার্টার ফাইনালেও মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দেশ।
তবে সেই ম্যাচে আম্পায়ারের বেশ কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্যই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সেমিফাইনালে ওঠা সম্ভব হয়নি - সে দেশের ক্রিকেট অনুরাগী ও এমন কি ক্রিকেট কর্মকর্তারাও এমন অভিযোগ তুলেছিলেন।
তার পরের বছর ২০১৬-তে আইসিসি-র টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচেও ব্যাঙ্গালোরে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশ। চরম উত্তেজনাপূর্ণ সেই ম্যাচের ফয়সালা হয়েছিল ম্যাচের একেবারে শেষ বলে - নাটকীয়ভাবে ম্যাচটি এক রানে জিতে নিয়েছিল ভারত।
বিশ্বকাপের যেসব খেলায় জয় পেয়ে বাংলাদেশ চমকে দিয়েছিল
- ৩১শে মে ১৯৯৯: বাংলাদেশ করেছিল ৯ উইকেটে ২২৩ রান। পাকিস্তান ১৬১ রানে অলআউট। ৬২ রানে জয় পায় বাংলাদেশ।
- ১৭ই মার্চ ২০০৭: ভারতকে পাঁচ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। ভারতের স্কোর- ১৯১ রানে অলআউট। বাংলাদেশ ৫ উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
- ৯ই মার্চ ২০১৫: ইংল্যান্ডকে ১৫ রানে হারায় বাংলাদেশ দল। ৫ উইকেটে ২৭৫ রান করে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডকে ২৬০ রানে অলআউট করে তারা।
আরো পড়তে পারেন: